আজ আমি আপনাদের সামনে জনপ্রিয় সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সফটওয়ার প্লাটফর্ম Whatsapp এর ৭ টি গোপনীয় টিপস শেয়ার করব, যা অনেক ব্যবহারকারীই জানেন না এমনকি এখানেও এই নিয়ে কোন টিউন হয়নি।
প্রায় ৬০০মিলিয়ন ব্যবহারকারী নিয়ে Whatsapp বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ম্যাসেজিং অ্যাপ। এমন কাউকে খুজে পাওয়া সত্যিই খুব দুরুহ যিনি এই অ্যাপ ব্যবহার করেন এবং এটা দিয়ে কোন কিছু আপলোড বা ডাওনলোড করেন না। তারপরও অথরিটি এই অ্যাপ এর সিকিউরিটি নিয়ে তেমন ব্যস্ত নন। কিন্তু বিখ্যাত এন্টিভাইরাস কোম্পানি ESET এটার উপর গবেষনা করে এর সিকিউরিটির জন্য বেশ কিছু টিপস শেয়ার করেছে।
১. আপনার শেয়ারকৃত ছবি গুলো আপনার ফোনের/ট্যাবের গ্যালারিতে না দেখানোঃ
আমরা যারা এই অ্যাপ টা ব্যবহার করি তারা দেখি এই অ্যাপ দ্বারা শেয়ারকৃত প্রত্যেকটি ছবি আমাদের ফোনের গ্যালারিতে দেখা যায়। আপনি চাইলে এই শো করাটা বন্ধ করে দিতে পারেন। এজন্য নিচের মত কাজ করতে পারেন। আপনার ফোন যদি আইফোন হয় তবে আপনি আপানার ফোনের সেটিংস মেনুতে গিয়ে প্রাইভেচি>ফটোস> এবং এখান থেকে হোয়াটসঅ্যাপ টা ডিসেবল করে দিন। তাহলে আপনার শেয়ার করা ছবিগুলো গ্যলারিতে দেখা যাবে না ।
আর যদি এন্ড্রয়েড হয় তবে আপনাকে একটু কষ্ট করতে হবে। এজন্য আপনাকে প্রথমে ES File Explorer ব্যবহার করতে পারেন, এটা আপনি প্লে স্টোর এ পাবেন। এই অ্যাপ এর মাধ্যমে আপনার ফোনের স্টোরেজ ব্রাউজ করুন এবং আপনি Whatsapp এর ইমেজ ও ভিডিও ফোল্ডার দেখতে পাবেন। এই ফোল্ডার গুলোতে "nomedia" নামের ফাইল তৈরি করেন। এটা আপনার গ্যালারিকে ঐ ফোল্ডার থেকে ছবি স্ক্যান করা থেকে বাধা দিবে। এই ভাবে আপনি অন্যান্য ফোল্ডারের ছবি ও গ্যালারি থেকে লুকিয়ে ফেলতে পারেন।
আর হ্যা যদি নকিয়া ফোন ব্যবহারকারী হন তবে x-plore ব্যবহার করতে পারেন এবং আপনার ফোন মেমোরি অথবা মেমোরী কার্ডের images>Whatsapp এইফোল্ডারটা হাইড করে দিতে পারেন। তাতে কেউ আপনার শেয়ারকৃত ছবি গুলো দেখতে পাবেনা।
২. আপনার প্রোফাইল পিকচার এ প্রাইভেসি এনাবল করেনঃ
আপনার প্রোফাইল পিকচারটিকে প্রাইভেসি দেওয়ার জন্য প্রাইভেসি মেনুতে গিয়ে সেট প্রোফাইল পিকচার শেয়ারিং টা অনলি কন্টাক্ট করে দিন। এতে যারা আপনার কন্টাক্টে নেই তারা আপনার ছবি দেখতে পারবেনা। যার ফলে আপনার অপরিচিত রা আপনার ছবি ডাওনলোড করতে পারবেনা ।
৩. স্কাম থেকে মুক্তি পানঃ
Whatsapp আপনাকে কখনোই আপনার চ্যাট, মেসেজ, বা অন্যান্য মাল্টিমিডিয়ার বিষয়ে কোন টেক্সট বা ইমেইল পাঠাবে না। যদি এই রকম কোন কিছু আপনার ক্ষেত্রে হয়ে থাকে তবে নিঃসন্দেহে এটা স্কাম। যতটুকু সম্ভব এটাকে এড়িয়ে চলুন।
৪. আপনার হোয়াটসঅ্যাপ ডিএক্টিভেট করে দিন[ যদি আপনি আপানার ফোন হারিয়ে ফেলেন]
আপনি যদি আপনার ফোন বা ট্যাব হারিয়ে ফেলেন তবে যত দ্রুত সম্ভব অন্য একটি মোবাইলে আপনার রিপ্লেসমেন্ট সিম দিয়ে আপনার আইডিতে লগিন করুন। Whatsapp সাধারণত একটি মোবাইলে একবার একটি একাউন্ট খুলতে দেয়। আর এভাবেই যদি আপনি নতুন করে কোন ফোন দিয়ে আপনার আগের সিমের রিপ্লেসমেন্ট দিয়ে লগিন করেন তবে Whatsapp আপনার নতুন ফোনের ইএমই এর উপর নির্ভর করে পুরাতন ফোনের মাধ্যমে আপনার হারানো সিমের আইডি ঐ ফোনের জন্য ব্লক করে দিবে।
৫. আপনার Whatsapp আপ্লিকেশনটি সর্বদা লক করে রাখুনঃ
Whatsapp আপনাকে বিল্ট-ইন কোন পিন বা পাসওয়ার্ড ফিচার দিবে না । তাই আপনি আপনার চ্যাটিং বা ম্যাসেজ গুলোকে সিকিওর রাখার জন্য আপনি থার্ড পার্টির কোন অ্যাপ লকার ব্যবহার করতে পারেন। যেমনঃ লক ফর whatsapp, chat and message locker, প্রভৃতি।
৬. হাইড লাষ্ট সীন টাইমঃ
Whatsapp এর বহুল অপছন্দনীয় ফিচার লাষ্ট সীন টাইম।এই ফিচারটি আপনার কন্টাক্ট কে আপনি তার দেয়া ম্যাসেজটি পড়েছেন কিনা তা সম্পর্কে অবগত করে এবং অনেকসময় তা বিভিন্ন সমস্যায় ফেলে ইউজার কে। আপনি চাইলে এই ফিচারটি বন্ধ করে দিতে পারেন। এর জন্য আপনাকে প্রোফাইল>প্রাইভেসি এবং এখান থেকে তা বন্ধ করে দিতে পারেন। বলাবাহুল্যঃ আপনি যদি এই ফিচারটি বন্ধ করে দিন তবে অন্য কেউ আপনার ম্যাসেজ দেখেছে কিনা সেটাও আপনি জানতে পারবেন না । তাই কাজটা নিজ দায়িত্বে করবেন।
৭. আপনি কি বিষয়ে কথা বলছেন সে বিষয়ে সতর্ক থাকুনঃ
আপনার গোপনীয় তথ্য, ঠিকানা, ফোন নাম্বার, ইমেইল এড্রেস, ক্রেডিট কার্ড তথ্য, পাসপোর্ট বা অন্যান্য গোপনীয় তথ্য শেয়ার থেকে বিরত থাকা ভাল। কারণ এটা একজন ব্যবহারকারীকে মধ্যস্ততা থেকে বাচতে সাহায্য করবে। যেমনঃ ধরুন, আপনি কোন বন্ধুকে আপনার ঠিকানা দিচ্ছেন এবং সে কোন একটা অপকর্ম লিপ্ত হয়ে গেল এমতাবস্তায় তার ফোন চেক করে আপনার সাথে তার যোগসুত্রতা থাকতে পারে মর্মে আপনার বিরুদ্ধে কোন ঝামেলার সৃষ্টি হতে পারে।
এতক্ষন ধৈর্য্য ধরে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। প্রথমেই বলে দিয়েছি এটা আমার প্রথম পোষ্ট তাই যে কোন ধরণের ভুল ত্রুটির জন্য আবার ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
0 comments:
Post a Comment