একজন মা তার সন্তান গর্ভে আসার আগেই স্বপ্ন বাঁধে। ঐ সন্তান পৃথিবীতে এসে পৃথিবীনামক মঞ্চে বড় হতে থাকে। আস্তে আস্তে সে বড় হয় এবং সেও স্বপ্ন দেখে। আশায় বুক বাঁধে। আবার আশা ভাঙ্গে। এভাবেই চলতে থাকে আমাদের স্বপ্নময় জীবন। আর এই স্বপ্নকে কেও বাস্তবে রূপ দেয়, কেও দেয় না আবার কারও ইচ্ছা থাকলেও পারে না। ¯্রষ্টা মানুষকে সকল সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে বানিয়েছেন।সবার অধিকার আছে এই দুনিয়াতে ভাল এবং শান্তিতে বসবাস করার। আর সেই শান্তির জন্য চাই একটি পারিবারিক মূল্যবোধ ও মৈালিক শিক্ষায় শিক্ষিত একটি পরিবার;ভ্রাতৃত্বপূর্ণ একটি সমাজ, অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী একটি রাষ্ট্র। কিন্তু, আমরাকি শান্তি পাচ্ছি কোন পক্ষ থেকে? পরিবার একটি সন্তানকে দিচ্ছে ভুল শিক্ষা, সমাজ দিচ্ছে একটি অভিশপ্ত চেতনা, আর দেশ দিচ্ছে কোটি কোটি বেকার। আমরা শুনতে পাচ্ছি ২০১৫ সালে আমাদের এই বাংলাদেশে বেকারত্বের পরিমান দাঁড়াবে ৬ কোটি। উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে মামার জোর কিংবা কোটার জোর না থাকায়, চাকুরী থেকে বঞ্চিত হয়ে গলির মুখে চায়ের দোকানে বেকারত্বের সময় কাটাতে আড্ডা দিলে, সমাজ বলবে বেয়াদব অথবা আকাইম্মা। চাকুরী পেয়ে বা না পেয়ে ব্যবসা শুরু করলে, সমাজ বলবে পড়া-শোনা করার কী দরকার ছিল? চাকুরী করলে আমাদের পরিবার বলবে একটা সরকারী চাকুরী পাওয়ার চেষ্টা কর। বেকার হয়েও থাকা যাবে না; সমাজ তাকে গ্রহন করবে না। তাহলে বেকারত্বের মুক্তি কোথায়? মুক্তি আপনাকেই আনতে হবে। আপনার সমাজ আপনার মত এত সুন্দর ভাবে কোন কিছুই চিন্তা করেনা। হার মানা যাবে না। সমাজ আপনাকে কিছু না দিক, সমাজকে আপনি দেখিয়ে দিন। আর তাই, দেখিয়ে দিতে নিজেকে তৈরী করুন। নিজেকে বিনিয়োগ করুন। ঘুম থেকে জেগে উঠুন। লক্ষ্য যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়–ন। আজকের ২৪ টা ঘন্টা একান্তই আপনার। গুণে গুণে প্রতিটা সময় উপোভোগ করুন সফলতার রাজ-রাজ্যে। প্রতিটি সকাল আমাদের দু’টো সুযোগ দেয়। একটি আরামে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখার। আর অন্যটি জেগে উঠে স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করার। সুযোগ বেছে নেয়ার দায়িত্ব আমাদের হাতেই। লক্ষ্য ঠিক করুন। পরিকল্পনা করে পরিশ্রম করুন আর লেগে থাকুন। সফলতা আপনার জন্য। রাষ্ট্র কিংবা সমাজের দিকে তাকিয়ে থাকা তরুণ-তরুণীদের মানায় না। অটল থাকুন, সফলতার পথে নেমে পড়––ন। একদিন ঐ সমাজ আপনাকে স্বাগত জানাবে।
0 comments:
Post a Comment